১৯৪৬ সাল। দুর্ভিক্ষ আর দেশবিভাগের পদধ্বনি কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়া এক ছেলের কানে পৌঁছাচ্ছে না এসব কিছু । কারণ বোহেমিয়ান স্বভাবের ছেলেটার কানে বাজতে থাকে শুধু চলচ্চিত্র জগতের আহ্ববান । শেষমেশ আহ্বানে সাড়া দিয়ে একদিন ঘর ছেড়ে বেড়িয়েই পড়লো ছেলেটি, সম্বল মাত্র ৬০ টাকা। গন্তব্য সিনেমা নামক জাদুর দুনিয়া। কিন্তু তার দুঃসাহসিক অভিযাত্রা কিছুদিনের জন্য স্থগিত হয়ে গেল ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে দুলাভাইয়ের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায়।
দ্বিতীয় প্রচেষ্টা, ১৯৪৯ সাল, এবারের গন্তব্য বোম্বে বর্তমান মুম্বাই । সময় পাল্টালেও কমে নি চলচ্চিত্র জগতের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ। এবার কিন্তু ছেলেটি সফল হয়েই ছাড়লো। ২০ বছরের টগবগে তরুণটি কি তখনও জানতো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন অন্যতম কিংবদন্তি হতে যাচ্ছে সে? কিংবা বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী সময়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ?
চলচ্চিত্র প্রেমী ও পাঠকরা হয়তো ধরে ফেলেছেন কোন কিংবদন্তীর জীবনের প্রথম ভাগের আলোচনা হচ্ছিল। ৬৮ বছর হয়তো খুব বেশি বড় জীবন নয়, কিন্তু খান আতাউর রহমান এই ৬৮ বছরেই বাংলা চলচ্চিত্রে যে ছাপ রেখে গিয়েছেন, তা চিরস্থায়ী ও স্মরণীয়।
অভিনেতা,পরিচালক,প্রযোজক,গীতিকার,সুরকার,সংগীতশিল্পী,পরিচালক ও সংলাপ রচয়িতা – এত ভারী ভারী শব্দ দিয়েও খান আতাউর রহমানের কাজের ব্যাপ্তিকে গন্ডিবদ্ধ করা সম্ভব নয়। তার চলচ্চিত্র শিক্ষার শুরু মুম্বাইর জ্যোতি স্টুডিওর ক্যামেরাম্যান জাল ইরানির শিক্ষানবিশ হিসেবে। কিন্তু বেশিদিন মন টিকলো না ওখানে, ১৯৫০ সালে এসে হাজির হলেন করাচি তে। করাচি তে সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করার সময় প্রথমবার পরিচয় হয় ফতেহ লোহানীর সাথে। এরপর ১৯৫২ সালে পাড়ি জমান লন্ডনে। অভিনেতা হিসবে তার অভিষেক লন্ডনের স্থানীয় থিয়েটারে। সেখানে তিনি চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের চিত্রকর্ম বিক্রির পাশাপাশি লন্ডনের সিটি লিটারেরি ইন্সটিটিউটে থিয়েটার বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকেন। তারপর দুই বছরের জন্য চলে যান নেদারল্যান্ডে, ইউনেস্কোর বৃত্তি নিয়ে। পরে আবার শিক্ষকতা পেশা নিয়ে লন্ডনে ফিরে আসেন। কিছুদিন কাজ করেছেন বিবিসির সাথেও। অবশেষে ১৯৫৬ সালে আবার ফিরে আসেন ঢাকায়।
খান আতাউর রহমানের অভিনয় নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে জহির রায়হান পরিচালিত “জীবন থেকে নেয়া” চলচ্চিত্রের দুলাভাই চরিত্রের কথা। খাঁ খাঁ রোদ্দুরে ছাদে বসে মধ্যবয়সী এক লোক হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাচ্ছে, “এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?”। সাদা চোখে গানটিকে সংসারের টানাপোড়নে বিরক্ত এক মানুষের মনের কথা মনে হলেও গানটি আসলে পাকিস্তানি সামরিক শাসনের থাবা থেকে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বের হয়ে আসার সার্বজনীন আকাঙ্খাকে তুলে ধরেছিল। “জীবন থেকে নেয়া” চলচ্চিত্রটি খান আতাউর রহমানের সব্যসাচী প্রতিভার পরিচয়টিকেও তুলে আনে। তিনি অভিনয় দিয়ে মুগ্ধতা ছড়ানোর পাশাপাশি এ চলচ্চিত্রে গীতিকার এবং সুরকার হিসেবেও কাজ করেছেন। হয়তো অনেকেই জানেননা যে “এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে” গানটি খান আতাউর রহমানেরই সৃষ্টি।
চলচ্চিত্র পাড়ায় খান আতাউর রহমান পরিচিত ছিলেন খান আতা নামে। তার অভিনয় করা প্রথম উর্দু চলচ্চিত্র আখতার জং কারদার পরিচালিত “জাগো হুয়া সাভেরা” ; যা মানিক বন্দোপধ্যায় রচিত “পদ্মা নদীর মাঝি” থেকে অনুপ্রাণিত। খান আতা অভিনীত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র এহতেশাম পরিচালিত “ এ দেশ তোমার আমার”। খান আতার গীতিকার এবং সুরকার হিসেবেও অভিষেক হয় এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই। তবে খান আতা বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম বারের মত সাড়া ফেলেন তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্র “নবাব সিরাজদ্দৌলা” এর মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রটির প্রভাব তখন এতই বেশি ছিল যে চলচ্চিত্রটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করা আনোয়ার হোসেনকে বাস্তব জীবনেও “নবাব সিরাজদ্দৌলা” খেতাব দেয়া হয়। তাঁকে দেয়া হয় বাংলার মুকুটহীন সম্রাটের খেতাবও। ঐতিহাসিক উপাদানের পাশাপাশি নাটকীয় উপাদান ব্যবহার করে খান আতাউর রহমান যে চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন তা তৎকালীন আপামর দর্শককে সম্মোহিত করে রেখেছিল। পরিচালনার সাথে সাথে পর্দায়ও অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন খান আতা। সিরাজউদ্দৌলার বিশ্বস্ত সেনাপতি মোহনলালের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গীত পরিচালনাতেও তাঁর উৎকর্ষতার উদাহরণ “নবাব সিরাজদ্দৌলা”। এই চলচ্চিত্রে কাজী নজরুল ইসলামের “পথ হারা পাখি কেঁদে ফিরে একা” এবং “এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে” গান দুটির সঙ্গীত আয়োজন করেছিলেন তিনি । ১৯৬৭ সালে “নবাব সিরাজদ্দৌলা” পুরো বাঙালি জাতির কাছে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল। ৬ দফা আর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময়কার বাঙালির দুর্যোগ যেন নবাব সিরাজউদ্দৌলারই প্রতিনিধিত্ব করছিল।
খান আতা সবসময়ই তাঁর কাজে রাজনৈতিক সচেতনতার ছাপ রেখেছেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের তরুণদের হতাশা, বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষাপটে নির্মাণ করেছিলেন “আবার তোরা মানুষ হ”। যেখানে সাতজন কলেজপড়ুয়া তরুণ, যারা কিনা মুক্তিযুদ্ধও করেছে, জড়িয়ে পড়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে তাদের কলেজের প্রিন্সিপাল। এই প্রিন্সিপাল চরিত্রে অভিনয় করেন খান আতা। কিছু সুযোগসন্ধানী মুক্তিযোদ্ধা যারা দেশপ্রেমকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, তাদের জন্য “আবার তোরা মানুষ হ” ছিল চরম চপেটাঘাত। তাই মুক্তির আগে থেকেই বিতর্ক ছিল এই চলচ্চিত্রটির নিত্যসঙ্গী। সেন্সর বোর্ড ও সেন্সর সার্টিফিকেট দিতে দ্বিধায় ছিল কর্তৃপক্ষ। শেষপর্যন্ত খান আতা তৎকালিন এফডিসিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা প্রিমিয়ার শো আয়োজন করে দ্বন্দের অবসান ঘটান।
ঐসময়ের মত বিতর্ক বন্ধ হলেও তার মৃত্যুর পর প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ২০১৭ সালে খান আতাকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে বিতর্কটিকে নতুন করে সামনে নিয়ে অাসেন। নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ “আবার তোরা মানুষ হ” একটি নেতিবাচক ছবি। মুক্তিযোদ্ধাদের বলছে আবার তোরা মানুষ হ। আরে তুই মানুষ হ। তাই না! তুই তো রাজাকার ছিলি।” এই বক্তব্যটি খুঁজে পাওয়া যাবে ইউটিউবে ঢুঁ মারলেই। নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুও একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঢাকায় অপারেশন চালানো বিখ্যাত ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন তিনি। তিনি অবশ্য তথ্য প্রমাণ বিহীন ফাঁকা বুলি ছুড়ে দেন নি। দলিল দস্তাবেজ সহ প্রমাণ দিয়েছিলেন।
নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ১৯৭২ সালে নীলিমা সরকারকে প্রধান করে গঠিত মুক্তিযুদ্ধে রেডিও টেলিভিশনে পাকিস্তানিদের সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করার কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছিল, তা উপস্থাপণ করেন; যেখানে ৩৫ নাম্বার নামটি খান আতাউর রহমানের ছিল। তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধপূর্ব তার চলচ্চিত্র সমূহ আমাদের ঋদ্দ্ব ও উজ্জীবিত করেছে । যেমন “সোয়ে নাদীয়া জাগো পানি” “নবাব সিরাজদৌলা” সহ অনেক চলচ্চিত্র। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন এবং তা তাঁর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত”। আলতাফ মাহমুদ, শহিদুল্লাহ কায়সার, জহির রায়হানের মত শিল্পীদের উদাহরণ টেনে তিনি উল্লেখ করেন, “ এই শিল্পী সাহিত্যিকরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন।”
খান আতা দেশদ্রোহী কিংবা রাজাকার ছিলেন কিনা সেটা নিয়ে নির্মোহ আলোচনা করা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু কেন কঠিন? প্রধান কারণ যাকে নিয়ে এই অভিযোগ, সেই খান আতা এখন আর আমাদের মাঝে নেই। সুতরাং, খান আতার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই। দ্বিতীয় কারণ তথ্য উপাত্তের অপ্রতুলতা, শুধুমাত্র নীলিমা সরকারের কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে খান আতাকে দেশদ্রোহী বানানো চুরির অভিযোগে ফাঁসি দেয়ার মত হয়ে যাবে। তৃতীয়ত তার সমসাময়িক যাদের সাথে খান আতা কাজ করেছিলেন তাদের অধিকাংশ বেঁচে নেই। তাই শেষ পর্যন্ত ভরসা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর বক্তব্য আর নীলিমা সরকার কমিটির রিপোর্ট।
“রেডিও টিভিতে বিখ্যাত ও পদস্থ ব্যাক্তিদের ধরে নিয়ে প্রোগ্রাম করিয়েও কর্তাদের তেমন সুবিধা হচ্ছে না মনে হয়! তাই এখন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের ধরে ধরে তাদের দিয়ে খবরের কাগজে বিবৃতি দেওয়ানোর কূটকৌশল শুরু হয়েছে ।“ এই লাইনটি সৈয়দ জাহানারা ইমামের বিখ্যাত বই “একাত্তরের দিনগুলি” থেকে নেয়া। মুক্তিযুদ্ধের সময় শিল্পী সাহিত্যিকদের তিন ধরণের ভাগ ছিল। একদিকে জহির রায়হান, এম আর আখতার মুকুল, শহিদুল্লাহ কায়সারের মত প্রত্যক্ষ ভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা শিল্পী সাহিত্যিক। অন্যপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা শিল্পী সাহিত্যিক। শেষ ভাগে আছে যারা বাধ্য হয়েছিলেন পাকিস্তানীদের পক্ষে কথা বলতে। প্রশ্ন হচ্ছে খান আতা কোন পক্ষে ছিলেন? খান আতা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের অখণ্ডতার পক্ষে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন। তৎকালীন আওয়ামীলীগের কাজকে চরমপন্থা উল্লেখ করে পাকিস্তানীরা যে বিবৃতি বের করেছিল তাতে ৫৫ জন শিল্পী সাহিত্যিকের স্বাক্ষর ছিল। সেখানে ৯ নাম্বার এ ছিল খান আতাউর রহমান এর নাম। ভোরের কাগজে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব হাসান ইমাম বলেন “ ২৫শে মার্চ পর্যন্ত আমরা বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ টেলিভিশন চালাচ্ছিলাম। ২৭ মার্চ যখন প্রথম টেলিভিশন খুললাম তখন আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, খান আতা একটা গান লিখে নিয়ে গেছেন। গানটি ছিলো “ সাদায় সবুজ আমার পাকিস্তানি পতাকা”। বাচ্চাদের তিনি গানটি শিখিয়েছিলেন। পরে শুনলাম আর্মিদের জিপে করে বাচ্চাদের তুলে আনা হয়েছিলো। এরপর তিনি আমাদের শিল্পীদের ধরে ধরে টেলিভিশনে নিয়ে যান“। এই কাজগুলো খান আতার প্রথম ভাগের শিল্পী হওয়ার প্রমাণ দেয়।
এবার একটু ১৯৭১ এর পিছনে যাওয়া যাক। ১৯৬৬ সালে বাংলার মানুষকে উজ্জীবিত করা “নবাব সিরাজউদ্দৌলা” কিংবা ১৯৭০ সালে আপামর বাংলার জনগণের আকাঙ্খাকে অনুরণিত করা “এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?” এর প্রধান কারিগর খান আতার প্রকৃতির সাথে কি বাঙালির সাথে প্রতারণা করা কোন শিল্পীর প্রকৃতি মেলানো সম্ভব? তিনি জহির রায়হানের সাথে অনেকদিন কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর রক্তচক্ষুর সামনেই জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ, আমজাদ হোসেনের সাথে মিলে “জীবন থেকে নেয়া” কে বাস্তবে রুপ দিয়েছিলেন। খান আতা আদর্শিক দিক দিয়ে পাকিস্তানপন্থী হলে জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ, আমজাদ হোসেন অবশ্যই তার সাথে কাজ করতেন না। বিবৃতিতে সই দেয়ার বিষয়েও তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিলেন। মাহবুব আজাদ খান এর “খান আতাউর রহমান” বইটিতে এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়। সেখানে তিনি বলেছেন স্বেচ্ছায় ওই স্বাক্ষর তিনি দেন নি। আবার “এক নদী রক্ত পেরিয়ে” কিংবা “হায়রে আমার মন মাতানো দেশ” এর মত অমর দেশাত্ববোধক গান একজন দেশদ্রোহীর কলম থেকে জন্ম নেবে, এটা ভাবাও বেশ দুরূহ বটে।
খান আতা কি রাজাকার ছিলেন? উত্তর এখনও অজানা। কিন্তু এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে কাজ করেছেন। স্বেচ্ছায় নাকি বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়ে তা অজানা। আবার এটাও সত্যি যে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে কিংবা পড়ে তিনি কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি তাঁর দেশাত্ববোধের অসংখ্য প্রমাণ দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন থেকে যায় মুক্তিযুদ্ধের সময়ে খান আতার ভূমিকা কি তাঁর সম্পূর্ণ চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে? নাকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাঁর ভূমিকা সম্পূর্ণই জীবন বাঁচানোর তাগিদে? নাকি সময়ের সাথে নিজের রঙ পরিবর্তন করেছিলেন খান আতাউর রহমান? উত্তর এখনো অজানা। তবে খান আতাউর রহমানের শিল্পী স্বত্বা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে নানাভাবে । এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকা অবান্তর। তেমনি সম্ভব নয় তার ঋণ অস্বীকার করা।
Source:
- “খান আতা রাজাকার, বললেন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।” youtube, uploaded by Shahidul Islam, 21 October 2017, https://www.youtube.com/watch?v=d5UEUoGUwvY
- (2017, October,16) খান আতাকে নিয়ে হাসান ইমামের বক্তব্য। ভোরের কাগজ Live. Retraive from https://www.bhorerkagoj.com/2017/10/16/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE/?fb_comment_id=1662719417106705_1664079403637373
- (2017, October, 16) খান আতা কি আসলেই দেশদ্রহি ছিলেন? com Retrieve from https://www.jagonews24.com/entertainment/news/357802
- Ahmed S. (2017, October,13) খান আতাকে রাজাকার বললেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ! com Retrieve from https://www.priyo.com/articles/khan-ata-razakar-said-nasiruddin-yusuf-20171013?fb_comment_id=1245040228934785_1245231942248947
ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত